মাসুদ আলম: [২] কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চাহিদা বেড়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজ ও মসলার। এ সুযোগে নানা অজুহাতে ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। গত দুই মাসে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম বেড়েছে ৭ থেকে ১০ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এখন মসলাটির দর প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি। ভোক্তা অধিদপ্তরের কঠোর হুঁশিয়ারির পরও বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এমন পরিস্থিতিতে ঈদের প্রয়োজনীয় এসব মসলা কিনতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা নিত্যপণ্যের দরের ঊর্ধ্বগতিতে একেবারে নাজেহাল হয়ে পড়ছেন। শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। 

[৩]  বাজার ঘুরে দেখা যায়, ২৪০ থেকে ২৫০ টাকার আদা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়। ৭৫ থেকে ৮০  টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। যা এক মাস আগে ছিলো ৬০ টাকা। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে  রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা।  

[৪] মানভেদে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬শ থেকে ৪ হাজার ২শ টাকা। গত বছর এ দর ছিল ১ হাজার ৬শ থেকে ২ হাজার ৪শ টাকা। জিরার কেজি বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। প্রতি কেজি লবঙ্গের দাম ১ হাজার ৮০০ টাকা। 

[৫] খুচরা ক্রেতারা বলছেন, মাংস রান্নায় প্রচুর পরিমাণে আদা, রসুন,  পেঁয়াজ ও মসলার ব্যবহার হয়। তাই ঈদকে সামনে রেখে এসব পণ্যের চাহিদাও বেড়েছে। দাম বাড়ার জন্য ছোট ব্যবসায়ীরা দায় চাপাচ্ছেন আমদানিকারক ও পাইকারদের ওপর।

[৬] আমদানিকারক ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন ডলারের দাম বেশি। বিশ্বব্যাপী মসলার দাম বেশি। মসলা আমদানিতে পরিবহন খরচ বেড়েছে। রপ্তানিকারক দেশগুলোতে উৎপাদন কমেছে।  এসব কারণে দাম বেড়েছে। 

[৭] এছাড়া সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কমেছে। উৎপাদন বাড়ায় গ্রীষ্মকালীন প্রতিটি সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম কমেছে। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় কাঁচা মরিচ কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। 

[৮] করলার কেজি ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ১০০ থেকে ১১০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা ও কাঁচা মরিচের কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। 

[৯] ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা, সোনালি ৩৪০ টাকা, ডিমের ডজনে ১০ টাকা বেড়ে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা  বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস এবং মাছ। 

[১০] খিলক্ষেতে বাজার করতে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঈদের সময় পণ্যের দাম কমে, আর আমাদের  বাড়িয়ে দেওয়া হয়। মসলা জাতীয় সব পণ্যে দাম বাড়তি।  তবে সবজি ও মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব